Friday , March 17 2023

এসএসসি আইসিটি প্রস্তুতি ও সাজেশন – তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি – ICT Suggestion

এসএসসি পরিক্ষার প্রস্তুতি ও সাজেশন – তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি – ICT Suggestion: এসএসসি পরিক্ষা ২০২২ প্রায় কাছাকাছি। আপনিও নিশ্চয়ই সবার মতো আখের গোছাতে পড়ে আছেন। আপনি মনে করেন যে সমস্ত ছাত্র যারা আপনার নজরে পড়ে তারা সবকিছু পড়ছে এবং উল্টে যাচ্ছে। আর আপনিই একমাত্র যিনি এখনও ‘কিছু করতে পারছেন না’ – আটকে আছেন। যদিও তুমি একা না; বরং পরীক্ষার আগে বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরই এ ধরনের মনোভাব রয়েছে। এটা যে অস্বাভাবিক না. কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনাকে মনোভাব মাথায় নিয়ে বসতে হবে।

অনেকেই এই সময়ে বেশ কিছু ভুল করে থাকেন। কিছু ত্রুটি খুবই ছোট। এগুলি এতই ছোট যে ভুল হিসাবে আলাদা করা কঠিন। কিন্তু আবার কিছু ভুল প্রায় মারাত্মক আকারের। পরীক্ষার আগের দিনগুলোতে এই ভুলগুলো আমরা হাসি-খেলে করি। আমরা এসব থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকব। কারণ তুমি বোঝো যে সময় খুব কম। কোন ভুল করা হবে না।

 আজকে এসএসসি আই সি টি সাজেশন ২০২২ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি – ICT Suggestion

ইংরেজ প্রকৌশলী ও গণিতবিদ চার্লস ব্যাবেজ (১৭৯১-১৮৭১) এর হাতে আধুনিক কম্পিউটারের প্রচলন শুরু হয়। অনেকে তাঁকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলে থাকেন। তিনি ডিফারেন্স ইঞ্জিন ও এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে দুইটি গণনাযন্ত্র তৈরি করেন যা যান্ত্রিকভাবে গণনা করতে পারে।

ই-লার্নিং : ই-লার্নিং শব্দটি ইলেকট্রনিক লার্নিং কথাটির সংক্ষিপ্ত রূপ। পাঠদান করার জন্য সিডি রম, ইন্টারনেট, ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক কিংবা টেলিভিশন চ্যানেল ব্যবহার করার পদ্ধতিকে ই-লার্নিং বলে।

ই-পূর্জি : পূর্জি হচ্ছে চিনিকলসমূহে কখন আখ সরবরাহ করতে হবে সে জন্য আওতাধীন আখচাষিদের দেওয়া একটি অনুমতিপত্র। আখচাষিরা এখন এসএমএসের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে পূর্জির তথ্য পাচ্ছে বলে এখন তাদের হয়রানি ও বিড়ম্বনার অবসান হয়েছে। পাশাপাশি সময়মতো আখের সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় চিনিকলের উৎপাদনও বেড়েছে।

ই-পর্চা সেবা : বর্তমানে দেশের সকল জমির রেকর্ডের অনুলিপি অনলাইনে সংগ্রহ করা যায়। এটিকে বলা হয় ই-পর্চা।

ই-কমার্স : ই-কমার্সে দ্ইু ধরনের প্রতিষ্ঠান লক্ষ করা যায়। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান কেবল নিজেদের পণ্য বিক্রয় করে থাকে। আবার কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান অন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রয় করে।

সামাজিক যোগাযোগ : সামাজিক যোগাযোগ বলতে ভার্চুয়াল যোগাযোগ ও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষে মানুষে মিথস্ক্রিয়াকেই বোঝায়। এর অর্থ হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ যোগাযোগ ও ভাব প্রকাশের জন্য যা কিছু সৃষ্টি, বিনিময় কিংবা আদান-প্রদান করে তাই সামাজিক যোগাযোগ।

টুইটার  : টুইটারও একটি সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে ফেসবুকের সঙ্গে এর একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। এটিতে ব্যবহারকারীদের সর্বোচ্চ ১৪০ অক্ষরের মধ্যে তাদের মনোভাব প্রকাশ ও আদান-প্রদান করতে হয়। এজন্য এটিকে মাইক্রোবøগিংয়ের একটি ওয়েবসাইটও বলা যায়। ১৪০ অক্ষরের এই বার্তাকে বলা হয় টুইট।

ই-গর্ভন্যান্স : শাসন ব্যবস্থায় ও প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগই হচ্ছে ই-গর্ভন্যান্স। এর মাধ্যমে সরকারি ব্যবস্থাসমূহকে ও যুগোপযোগী করার পাশাপাশি সরকারি ব্যবস্থাসমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

এমটিএস : ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেমকে সংক্ষেপে এমটিএস বলে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেমের মাধ্যমে দেশের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে নিরাপদে, দ্রæত, কম খরচে টাকা পাঠানো যায়। দেশের প্রায় সকল ডাকঘরে এই সেবা পাওয়া যায়।

SSC ICT Preparation 2022

প্রশ্ন -১।  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

রাশেদ নিয়মিত পত্রিকা পড়ে। আজ সে পত্রিকা খুলে “একুশ শতক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” শিরোনামে একটি লেখা দেখতে পেল। লেখাটি সে খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ল। তারপর বিষয়টি নিয়ে সে তার বাবার সাথে আলোচনা করে বুঝতে পারল একুশ শতকের পৃথিবী আসলে জ্ঞানভিত্তিক একটা অর্থনীতির ওপর দাঁড়াতে শুরু করেছে। এ কারণে পৃথিবীর মানুষ নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে তার বাবা বলেন, “একুশ শতকে টিকে থাকতে হলে সবাইকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রাথমিক বিষয়গুলো জানতে হবে।”

ক. প্রোগ্রামিং ধারণার প্রবর্তক কে?
খ. ই- গভর্ন্যান্স বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. রাশেদ ও তার বাবার আলোচিত প্রযুক্তিতে চার্লস ব্যাবেজের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. একুশ শতকে টিকে থাকার প্রয়োজনীয় দক্ষতার ব্যাপারে তুমি কি রাশেদের বাবার সাথে একমত? তোমার মতামত উপস্থাপন কর।

প্রশ্ন -2.   নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

কৌশিকরা তিন বন্ধু মিলে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে গেল। তারা প্রথমে ঢাকা থেকে ট্রেনে করে চট্টগ্রাম পরবর্তীতে চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে কক্সবাজার গেল। হঠাৎ একটি বন্ধু অসুস্থ হয়ে গেল। তারা ঢাকার একজন চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করলে চিকিৎসক তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। পরে ঐ হাসপাতালের ডাক্তার ঢাকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তার চিকিৎসা করেন।

ক. ই-পর্চা কী?
খ. ই-সেবা বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. কক্সবাজার যাওয়ার সময় কৌশিকরা কোন ই-সেবাটি গ্রহণ করতে পারত? বর্ণনা কর।
ঘ. কৌশিকের বন্ধুর মতো অন্য রোগীরাও কীভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারে? বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্ন – 3. নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

মনির আজ তার কলেজে আয়োজিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মেলায় গিয়েছিল। সেখানে সে ইন্টারনেট, ই-মেইল, মোবাইল ফোন, ওয়েবসাইট নির্মাণ, বøগিং, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও আইসিটির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারল। সে আরও দেখতে পেল, বিনোদনের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির সুবিশাল ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে যে বড় বিষয়টি মনিরের নজরে আসল তা হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা। সে বিষয়টি সম্পর্কে শুনেছে কিন্তু আজ প্রধান অতিথির বক্তব্য থেকে তার কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাটি সুস্পষ্ট হলো। প্রধান অতিথি বললেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের চ‚ড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে সকল শ্রেণির সব ধরনের মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন।’

ক. কে প্রথম ই-মেইল সিস্টেম চালু করেন?
খ. ই-সেবা সম্পর্কে লেখ।
গ. মনিরের কলেজে আয়োজিত মেলার বিষয়বস্তু বিনোদনের ক্ষেত্রে কিরূপ ভ‚মিকা রাখছে? বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত লক্ষ্য অর্জনের বিভিন্ন উপায়গুলো তোমার নিজের ভাষায় উপস্থাপন কর।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে কী বোঝায়? ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে করণীয় আলোচনা কর।

উত্তর :

ডিজিটাল বাংলাদেশ :

ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে গড়ে তোলা আধুনিক বাংলাদেশ বোঝানো হয়। সব ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান এবং দারিদ্র্যমোচনের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশের পেছনের মূল কথাটি হচ্ছে দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা এবং সুবিচার নিশ্চিত করা এবং এগুলোর জন্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা।

DIGITAL BANGLADESH – ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে করণীয় :

বর্তমান সরকার প্রথমবারের মতো ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে আমাদের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হবে। যেহেতু আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই গ্রামে থাকে তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রথম ধাপ হচ্ছে এই গ্রামীণ মানুষকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবার আওতায় নিয়ে আসা। সেজন্য এখনও বিশাল অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির পুরো সুবিধা পেতে হলে এক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন। স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান বাড়াতে হবে, আরও বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থীকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। ই-গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে সকল কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। ই-গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে সকল কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা কাজে লাগাতে উৎসাহী করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিল্পের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। আর তাহলেই আমরা প্রকৃত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।

এসএসসি প্রস্তুতি ২০২২। এসএসসি পরিক্ষার সাজেশন ২০২২। SSC Exam 2022 Preparation 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *